ATM কার্ড দু'ধরনের হয়; ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড । তহবিল থেকে অর্থ উত্তোলন ও ফান্ড ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক ব্যৱস্থানির্ভর ডেবিট কার্ড একটা অন্যতম পদ্ধতি । এটি চুম্বকীয় শক্তিসম্পন্ন সাংকেতিক নম্বরযুক্ত এবং গ্রাহকদের ছবি ও অন্যান্য তথ্য সম্বলিত এক ধরনের প্লাস্টিক কার্ড । এক্ষেত্রে প্রত্যেক গ্রাহকের আলাদা PIN (Personal Identification Number) থাকে। যা ব্যবহার করে এর গ্রাহক ATM বুথ থেকে টাকা উত্তোলন ও ফান্ড ট্রান্সফার করতে পারে । আমাদের দেশের ব্যাংকগুলো এ বুথ থেকে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পর্যন্ত একবারে উঠানোর সুযোগ দেয় । সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় দুইবার এরূপ কার্ড ব্যবহার করে ATM বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করা যায় । গ্রাহকের হিসাবে ডেবিট জের (Balance) থাকলেই শুধুমাত্র এরূপ কার্ড ব্যবহার করা যায় বিধায় একে ডেবিট কার্ড বলা হয়ে থাকে । ক্রেডিট কার্ডে যেভাবে নির্দিষ্ট বিপণি থেকে পণ্য ও সেবা ক্রয় সুবিধা লাভ করা যায় ডেবিট কার্ডের বেলায়ও তা সম্ভব। এ ছাড়া বিভিন্ন সেবা সুবিধা (Utility charge)-এর বিল এবং ঋণের ও প্রিমিয়ামের কিস্তি সহজেই প্রদান করা সম্ভব হয় । এরূপ কার্ড সুবিধার কারণেই ই রিটেইলিং, ই- টিকেটিং ইত্যাদি কাজ সহজ হয়েছে । আমাদের দেশে এখন বিভিন্ন ব্যাংক ডেবিট কার্ড সরবরাহ করে ।
আরও দেখুন...